পোস্টগুলি

তালেবানের বিজয়ে সেকুদের জ্বালাপোড়া শুরু হয়েছে....

ছবি
নারী অধিকার, এ অধিকার, ও অধিকার আসল কথা না। আসল কথা হলো তালেবানের বিজয় তারা মেনে নিতে পারছে না। বুকের মধ্যে জ্বালা পোড়া হচ্ছে।  রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক, আর্থিক এই বিপুল পরাজয় কোনো ভাবেই সহ্য হচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমগুলোয় এসে বিষ ঝাড়ছে। ইচ্ছা মতো কেচ্ছা কাহিনী বানিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।  তারা হয়তো বুঝতে পারছে না, আদর্শ এবং মনোবল কতোটা শক্ত হলে কুড়ি বছর ধরে মারা যায়, লেগে থাকা যায়।  আমেরিকা, ন্যাটো যেখানে সর্ব শক্তি নিয়োগ করেও তালেবানদের আদর্শ থেকে, কমিটমেন্ট থেকে একচুল নড়াতে পারেনি, সেখানে তারা 'আইছে' কেচ্ছা কাহিনী নিয়ে।  আফগান মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এবং ঘাতক, দালাল, দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নেয়া মানুষদের চিনে রাখুন। দেখবেন তারাই আবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখাবে। চে গুয়েভারের গল্প শোনাবে। দখলদার আমেরিকার শাসনামলে আফগানে কতোজন নারী ধর্ষিতা হয়েছে, কতো নিরিহ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, কতো শিশু মরেছে, কতো দূর্নীতি হয়েছে এসব আলোচনা তাদের মুখে শুনবেন না। শুনবেন শুধু আতঙ্ক আর ভয় ছড়ানোর কথা।  আমেরিকা যে কুড়ি বছর শোষণ করলো, যাওয়ার সময়ে আফগানদের অর্থ...

কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলা করে কথিত আইএস তাদের জন্মদাগ চিনিয়েছে।

ছবি
শুরু থেকেই তারা যেভাবে নৃশংসতা দেখিয়েছে তাতে বারংবারই মনে হয়েছে এরা এমন কোন অপশক্তি যারা ইসলাম ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে আতংক তৈরি করতে চায়।  এই অপশক্তি মুসলিম দেশগুলোতে হামলা করে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে, দেশগুলোর স্বৈরশাসকদের ভিত্তি মজবুত করেছে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি ভবিষ্যতবাণী অনুসারে পৃথিবী ও মানবতার মহান ত্রাতা ইমাম মাহদীর অনুসারীদের পতাকার রঙ কালো হওয়ার কথা। কালো সেই পতাকা মাজলুমের জন্য আনন্দের বার্তা আনার কথা। সেই কালো পতাকা মানবতার জন্য আনন্দ ও উল্লাস আনবে। সম্ভবত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুসংবাদ দেয়া সেই কাফেলা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনে আতংক তৈরি করতেই এই কথিত আইএসকে তৈরি করা হয়েছে।

মডেল মসজিদে চাই মডেল ইমাম -বিতর্কিত লেখক ও রাজনীতিবিদ জিয়া আল-হায়দার

ছবি
সাকূল্যে ১৫,০০০/- টাকা বেতনের খয়রাতি মোল্লা নয়;১৩ কোটি টাকার মডেল মসজিদে চাই সুযোগ্য মডেল ইমাম। এটিকে বলা হচ্ছে কালচারাল সেন্টার। সেন্টারের পরিচালক হয়;ইমাম নয়। ইসলামী বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করা/দাওরা/কামিল প্রাক্টিকাল যোগ্যতাধারী উচ্চ শিক্ষিত "পরিচালক কাম ইমাম-খতিব" নিয়োগ দিন। তাদেরকে উপজেলার বিসিএস কর্মকর্তাদের সমান মর্যাদা ও সুবিধা দিন। উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কর্মকর্তারা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর প্রতিকারের কাজ করে। একজন যোগ্য ইমাম ধর্মীয় প্রেষণা দিয়ে সমাজ থেকে অপরাধের প্রবৃত্তি ও প্রবণতা প্রতিরোধ করে। কাজেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চেয়ে যোগ্য ইমামের ভূমিকা কম নয়। ইমাম ও খতিবদের করুনার পাত্র বানিয়ে রাখার নিম্ম মানসিকতা বদলান। উপজেলার সরকারি কলেজের বাংলা ইংরেজির ইতিহাসের শিক্ষকের মত একজন খতিবকে পড়াশোনা করতে হয়, গবেষণা করতে হয়। ইমাম ও খতিব তার অডিয়েন্সকে নানা বিষয়ে শিক্ষা দেয়। এভাবে সমাজ ও জনশক্তি উন্নয়নে খতিবরা ভূমিকা রাখেন। কিন্তু তারা যোগ্যতা ও অবদান অনুযায়ী উপযুক্ত সম্মানী পান না।  মডেল মসজিদের চেয়ে মডেল ইমাম বেশী দরকার। তাহলে সমাজে মডেল মুসলিম তৈরি হবে। নিয়োগ...

পিঁপড়ারহস্য! শায়খ মুসা আল-হাফিজ

ছবি
  মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করছিলাম। সামনে এলো সুরা নমল। নমল মানে পিঁপড়া। পুরো এক সুরার নাম পিঁপড়ার নামে! মহান আল্লাহ এত্তটুকু প্রাণিকে এতো গুরুত্ব দিলেন!  ছয় পায়ে  হাঁটা সামান্য এই প্রাণি গড়পড়তা একজন মানুষের চেয়ে সোয়া এক কোটিগুণ ছোট! তার ওজন হয় মাত্র পাঁচ মিলিগ্রাম ।  এমন এক প্রাণি কেন আলোচিত সেই গ্রন্থে, যা মানবজাতির সংবিধান?  হ্যাঁ, খোদার বিধানে কারো গুরুত্ব আকার দিয়ে নির্ধারিত হয় না। খুব ছোটও হতে পারে খুব গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি শিক্ষাদাতা!  আর পৃথিবীটা আমাদের একার নয়। অন্য কাউকেই অবহেলা করা চলবে না। যখন অল্লাহ তা করেননি! কীভাবে পিঁপড়াকে অবহেলা করবো? যে তার শরীরের  চেয়েও বিশ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে।তার নেই কোনো  ফুসফুস । কিন্তু  শরীরে থাকা  সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম  অসংখ্য ছিদ্রকে সে কাজে লাগায়।  এর মাধ্যমে তার ভেতরে  ও বাইরে অক্সিজেনের আসা-যাওয়া!   তার নেই কোনো কান। কিন্তু সে বধির হয়ে নেই। মাটির কম্পনের অর্থ  সে জানে।  হাঁটু এবং পায়ে থাকা সেনসিং ভাইব্রেসন দিয়ে সে মাটির বাণী বুঝে নেয়।  শ্রবণ করে চারপাশ...

সেক্যুলারিজম-প্লুরালিজম ব্যবচ্ছেদ। -জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ

ছবি
প্লুরালিজম আর সেক্যুলারিজমের মধ্যে কোনটা ভাল, এই আলাপ যখন মুসলিম পরিচয়ধারী কেউ করেন, তখন বড় কষ্ট লাগে। কেন আপনার নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর সমাজ ও রাষ্ট্রের চিন্তা কি চরমপন্থী বা উগ্রপন্থী? আপনার নবীর দেয়া জীবনব্যবস্থায় কি সমাজের সকলকে নিয়ে চলার পথ বাতলে দেয়া হয়নি? শত শত বছর ধরে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে ভিন্নধর্মী, এমনকি নাস্তিকরা পর্যন্ত নাগরিক অধিকার নিয়ে নিশ্চিন্তে বসবাস করেনি?  আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে, আমরা ইসলামকে ইউরোপীয় পাদ্রীতান্ত্রিক ধর্মের সাথে তুলনা করে ধর্মবেজ রাষ্ট্র, রাজনীতির বিপক্ষে কলম ধরি।‌ অতঃপর সমাধান হিসেবে সেক্যুলারিজম বা প্লুরালিজম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি। অথচ বহুত্ববাদী সমাজ, নাগরিক হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেও ধর্মীয় রাষ্ট্র যে হতে পারে বরং উত্তম হতে পারে, এর উদাহরণ কিন্তু ইসলাম শত শত বছরের ইতিহাস দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছে। আজকের সেক্যুলার ভারত রাষ্ট্রের চেয়ে ইসলামী ভারতবর্ষে ভিন্নধর্মীরা হাজার গুণ বেশি ভাল ছিল না? কিংবা আজকের সেক্যুলার বাংলাদেশের চেয়ে মুসলিম আমলের বাংলায় মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে শতগুণ বেশি শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানমূলক ...

সুপ্রিমকোর্ট বার ক্যান্টিনে গরুর গোশত রান্নার প্রতিবাদ করেছেন একদল হিন্দু আইনজীবী।

ছবি
"কিছুদিন পর তারা কি এ দাবিও তুলবে যে, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য’ দেশে গরু কুরবানীও বন্ধ করে দিতে হবে! আমার তো প্রশ্ন হল, একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ্য মুসলিম দেশের সুপ্রিম কোর্ট বার ক্যান্টিনে (তাদের দাবি অনুযায়ী) এতদিন গরুর গোশত রান্না হয় নাই কেন?"

'কেঁচো' প্রাণীজগতে সবচেয়ে প্রভাবশালী। এটাকে বলা হয়" মাটি প্রকৌশলী " -শায়খ মুসা আল-হাফিজ

ছবি
কী বিরক্তিকর প্রাণি এটি! পৃথিবীতে কী দরকার ছিলো ? - বলে অনেকেই। বিভিন্ন প্রাণির প্রতি ঘৃণা ও তচ্ছিল্য থেকে এমন কথা আসে। ধরা যাক কেঁচোর কথা। সে সাধারণত তুচ্ছ বিবেচিত হয়। প্রশ্ন আসে, আল্লাহ কেন একে বানালেন?  কেঁচো আসলে তুচ্ছ নয়, প্রাণিজগতে সে সবচে‘ প্রভাবশালী। প্রকৃতিবিজ্ঞানীরা  অমেরুদণ্ডী এই  প্রাণিকে স্থান দিয়েছেন ডাইনোসরেরও ওপরে!  কৃষি যে বেঁচে আছে, সেখানে প্রাকৃতিকভাবে সবচে বেশি অবদান কেঁচোর।।  মাটির উর্বরাশক্তি বাড়াতে তার ভূমিকা অতুলনীয়।  প্রকৃতির লাঙল উপাধী সে লাভ করেছে আপন গুনেই। যদিও তার  চোখ নেই, কান নেই,   ফুসফুস নেই। আসলে নাকও নেই,  ত্বক দিয়েই গ্রহণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস ।    বিজ্ঞান তার  নাম  দিয়েছে Metaphir posthuma।   সাধারণত ফসলি জমি বা ঘরবাড়ীর  কাছে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় সে থাকে। ক্ষয়ে যাচ্ছে, এমন  মাটি বসবাসের জন্য পছন্দ এদের,  যেখানে থাকে প্রচুর জৈব পদার্থ । সাধারণত সাত-আট ইঞ্চি লম্বা হয় এরা।এদের দেহ নলের মতো লম্বা, সরু । দেহের সামনের দিক একটু চাপা, পেছনের দিক  কিছুটা ভোঁত...