আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আবার ৫০ বছর পিছিয়ে গেলো। -রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী

Published from Blogger Prime Android App

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই কয়েকদিন পরে হল খুলে ফিজিকাল পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাবে নিজে থেকেই।

কারণ এটা না যে তারা পরীক্ষার্থীদের ভালের জন্য, তাদের ভবিষ্যত কথা চিন্তা করে এই দাবি জানাবে। তাদের এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই।  

তারা এই দাবি জানাবে কারণ, ফিজিকাল পরীক্ষা না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে।

অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হলে অনেক শিক্ষককেই নতুনভাবে “টেকনলজি” শিখতে হবে। তারচেয়েও বড় কথা পুরো প্রশ্ন করার সিস্টেম বদল করতে হবে। খাতা দেখার পদ্ধতি বদলে যাবে। নতুন ভাবে প্রত্যেকটা বিষয়ের প্রশ্ন বানাতে হবে।

অবজেকটিভ, বহুনির্বাচনী, ছোট প্রশ্ন , নতুন করে ম্যাথ এনালাইটিকাল প্রশ্ন। অনেক অনেক অনেক অনেক কাজ। এই কাজ গুলো আবার সময় সাপেক্ষ ( নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)। শত বছরের পুরোনো প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। একদম নতুনভাবে বাস্তবজীবনের সাথে সম্পর্কিত প্রশ্ন বানাতে হবে। এত কষ্ট কে করবে? কেনো করবে?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমন প্রশ্ন করে পরীক্ষা নেওয়ার মেধা -জ্ঞান - মনন আছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু নতুন কিছু করার, গ্রহণ করার কতটা ইচ্ছে আছে এটা প্রশ্নবিদ্ধ ( সবার না)।

তার চেয়ে এই ভালো। পাবলিক ডিমান্ডের সাথে তাল মিলিয়ে হল খুলি। পরীক্ষা নেই। ঝামেলা হলে ছাত্র ছাত্রীদের হবে। আমাদের কি!!!!

নতুন পদ্ধতি নিতে না পারার জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আবার ৫০ বছর পিছিয়ে গেলো। এই আর কি

বৈশ্বিক পরিবর্তন যদি বিশ্ববিদ্যালয় নিজে গ্রহণ করতে না পারে তাহলে সেটা কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মনন পরিবর্তন করবে? সেটা কীভাবে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করতে পারে?

রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী: সহকারি অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা।

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

 ৫ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট

Body Smell: ৩ খাবার: নিয়মিত খেলে দূর হবে ঘামের দুর্গন্ধ

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেমন হওয়া উচিত ছিলো -মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি