আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেমন হওয়া উচিত ছিলো -মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি
পাকিস্তান হওয়ার আগে হিন্দুস্তানে তিনটি বড় বড় শিক্ষাব্যবস্থা প্রসিদ্ধ ছিল। দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাব্যবস্থা। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যবস্থা। নদওয়াতুল উলামার শিক্ষাব্যবস্থা। সম্ভবত ১৯৫০ সনে আমার আব্বাজান মুফতি মুহাম্মদ শফী রহ. এক মজলিসে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “পাকিস্তান হওয়ার পর আমাদের না আলীগড় ইউনিভার্সিটির দরকার আছে, না দরকার আছে দারুল উলুম দেওবন্দের। বরং আমাদের দরকার এমন একটা শিক্ষাব্যবস্থার, যা আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে ধারাবাহিকসূত্রে চলে আসছিল।” শ্রোতারা একথা শুনে বড় আশ্চর্য হয়ে গেলেন। দারুল উলুম দেওবন্দের এমন একজন বড় মুফতি সাহেব এমন কথা বলছেন – পাকিস্তান হওয়ার পর দেওবন্দের প্রয়োজন নেই। আমাদের এক নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। আমার আব্বাজান যে কথা বলেছিলেন তা প্রকৃতপক্ষে অনেক গভীর একটি কথা। এবং সেটি না বুঝার কারণে অনেকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আসলে হিন্দুস্তানে যেই তিন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল সেটি প্রকৃতপক্ষে স্বভাবজাত কোন শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। বরং সেটি ইংরেজদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি পরিণতি এবং ইংরেজদের ষ -ড়- যন্ত্রের একটি প্রতিক্রি